অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান
গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকের মিছিল সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং দেশ গড়ার মিছিল। বিএনপির লক্ষ্য জনগণের ভোট নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তার মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না। আজকের এই মিছিল বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার, অধিকার রক্ষার এবং নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল।
তারেক রহমান বলেন, লাখো জনতার এই মিছিল বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে ৭ নভেম্বরের অন্তর্নীহিত শিক্ষায় দিক্ষীত করার মিছিল, এই মিছিল ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আহত অসংখ্য ছাত্র-জনতা এবং হাজারও শহীদের স্বপ্নে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় মিছিল।
তারেক রহমান যোগ করেন, ‘কখনো যেন বাংলাদেশে ফ্যসিবাদ ফিরে আসতে না পারে সেজন্য প্রতিটি নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জনগণের ভোটের প্রতি যতক্ষণ পর্যন্ত মুখাপেক্ষি করা না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এমনকি স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও স্বল্প আয়ের মানুষকে বাজার সিন্ডিকেটের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। যদি না মানুষের সরাসরি ভোটের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে পারি।
স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি একটি বিষয়ে স্মরণ করিয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই, আমি নিজেও সতর্ক থাকতে চাই- সেটি হলো গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো কিন্তু থেমে নেই। অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে, প্রশাসনে, এখনো সক্রিয়। এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। তবে নিজেদের সতর্ক করতে চাইলে অন্তবর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এটিই আজ জনগণের চাওয়া।