অনলাইন বেটিং নিয়ে জিরো টলারেন্স : ক্রীড়া উপদেষ্টা
বাংলাদেশে অনলাইন বেটিং প্রবণতা বেড়েছে। অন্য সবার মতো যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার নজরেও এসেছে বিষয়টি। তিনি এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ক্রীড়া কল্যাণসেবী ফাউন্ডেশনে ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বেটিং বিষয়ে আলোকপাত করেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বেটিং নিয়ে বলেন, ‘অনলাইন বেটিং বেড়েছে। স্থানীয় পর্যায়েও এটা হচ্ছে। আমরা এটা রোধে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় কথা বলেছি। জুয়া খেললে যে শাস্তি হয়, এ রকম শাস্তি এখানেও থাকবে। আমরা এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। বেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত আর্থিক বিষয়গুলো কঠোর নজরদাড়ির মধ্যে রয়েছে।’
বাংলাদেশের তারকা ক্রীড়াবিদকে বিভিন্ন সময় বেটিং কোম্পানির বিজ্ঞাপনের সঙ্গে দেখা গেছে। বেটিংয়ের সঙ্গে যেন কোনো ক্রীড়াবিদ বা ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট কেউ না থাকেন সেটাও আইন করতে চান উপদেষ্টা, ‘ক্রীড়াবিদ বা ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা এটার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। এ রকম নির্দেশনা আমাদের থাকবে।’
দেশের দুই শীর্ষ খেলা ফুটবল-ক্রিকেটেও পাতানো খেলা বা বিভিন্ন ধরনের ফিক্সিং হয়। খেলায় ফিক্সিং রোধে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চান আসিফ মাহমুদ, ‘ফিক্সিং বৈশ্বিক ব্যবস্থা। অনেক সময় প্রথম-তৃতীয় বিভাগে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আসে। বিভিন্ন দেশ উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ফিক্সিং চিহ্নিত করে। আমরাও সেটা অনুসরণ করে ফিক্সিং রোধ করার পরিকল্পনা করছি। আমাদের ক্রীড়া ফেডারেশন বাফুফে, বিসিবি ফিক্সিং প্রতিরোধে কাজ করছে।’
গতকাল ভলিবল স্টেডিয়ামে ক্রীড়া উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুথানে ছাত্র জনতার উপর শুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে এমন তথ্য দিয়েছিলেন। শুটিং ফেডারেশনে বর্তমানে যারা রয়েছে তারা গণমাধ্যমে অবশ্য দাবি করেছেন, শুটিং ফেডারেশনের কোনো অস্ত্র ব্যবহার হয়নি।
আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে এই বিষয়টি সাংবাদিকরা উথাপন করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় শুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র হামলা-লুটপাটের মাধ্যমে ছাত্র জনতার উপর ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা এই বিষয়টি দেখছি কোন জায়গায় এবং কতটুকু হয়েছে। সেনসেটিভ ফেডারেশনে লিডারশিপের ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব।’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া সম্প্রতি জেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। এটা মূলত বাফুফের দায়িত্ব হলেও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এটার পাশে থাকবে আজ এটি স্পষ্ট করেছেন, ‘বাফুফে এই টুর্নামেন্টের ডিজাইন করছে। আশা করি ২-৩ মাসের মধ্যে শুরু হবে। বড় পরিসরেই অনুষ্ঠিত হবে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এতে সহায়তা করবে।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা আজ অস্বচ্ছল, অসুস্থ ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবীদের মাঝে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। ১৬৫২ জন ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে এই সুবিধা পেয়েছেন। এই ভাতা মাসিক ২ হাজারের পরিবর্তে এখন থেকে ৩ হাজার টাকায় উন্নীত করেছেন উপদেষ্টা।