October 7, 2024
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

সহিংসতার দায় স্বীকার করেছেন বিএনপি নেতারা, দাবি হারুনের

গ্রেফতারের পর রিমান্ডে থাকা বিএনপি নেতারা ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ঘিরে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে এর দায় স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেফতার হওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা রিমান্ডে প্রথমে হামলা ও সহিংসতার সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা কথা অস্বীকার করেন। পরে আমরা যখন সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়েছি তখন তারা দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সহিংসতার বিষয়ে সিনিয়র নেতারা দায় এড়াতে পারেন না বলে স্বীকার করছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা দাবি করেন, নাশকতাকারী সবার নেতা হচ্ছেন (যুবদল সভাপতি) সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তার নেতৃত্বেই গত ২৮ অক্টোবর থেকে চলমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় বাসে আগুন, ককটেল নিক্ষেপ, পেট্রোল বোমা বা পেট্রোল লাগিয়ে আগুন জ্বালানো হয়।

ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, ২৮ অক্টোবর সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্য আমিরুল হত্যা, বিচারপতির বাসভবনের হামলা, কাকরাইল, রমনা, মৌচাকে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতার হাসান হাওলাদার গুলশান থান ছাত্রদল কর্মী। তিনি ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও সেখানে থাকা বিআরটিসি বাসে আগুন দেন। এসব সহিংসতা করার পর আবার টিকটিক করেন।

হারুন বলেন, গ্রেফতার কামরুজ্জামান টুকু শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। বিএনপির সমাবেশে অংশগ্রহণ করে পুলিশের ওপর আক্রমণে সক্রিয় ভূমিকা রাখে মর্মে তিনি স্বীকার করেন।

গ্রেফতার আবুল হোসেন জুয়েল কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি। তিনি সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা চালান। রানা মিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ড মুগদা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব। সমাবেশের পুলিশ হত্যা মামলার গ্রেফতার আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে নাম আসে। মহিউদ্দিন হৃদয় রমনা থানা যুবদলের ১৯নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।

হারুন বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব, রবিউল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে প্রথমে মৌচাকে বলাকা বাসে আগুন দেয়, তারপর কাকরাইল মোড়ে বাসে আগুন দেয় এবং পরবর্তী সময়ে পুরাতন রমনা থানার সামনে বাসে আগুন দেয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। ওইদিন এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ।তবে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন নিহত হন।

পরে পুলিশি অভিযানে অল্প সময়ের মধ্যে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েক ডজন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। বেশির ভাগ নেতা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন।

শেয়ার করুন: