December 26, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে মামলা করে কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত

দ. প্রতিবেদক
ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করার অভিযোগে মাস্টাররোলে কর্মরত ৩৭ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। কেসিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মচারীরা কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্প্রেম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও গাড়ির চালকসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার অব্যাহতিপত্র হাতে পেয়েছেন চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা।
চাকরিচ্যুতরা হলেন- কর্পোরেশনের কঞ্জারভেন্সি বিভাগের স্প্রে-ম্যান মো. বাচ্চু শেখ, মো. আলাউদ্দিন, মো. নিকমল মল্লিক, মো. মনিরুজ্জামান, মো. কুদ্দুস শেখ, মো. লিয়াকত শেখ, মো. আক্কাস, মো. মুজিবর ও মো. বাবুল হাওলাদার। পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. বেল্লাল শেখ, প্রলাদ, রুস্তম খা, মমতাজ বেগম, মো. জাকারিয়া হোসেন, খান মনিরুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. শহিদুল ইসলাম ও মনিরুল শেখ। অফিস সহায়ক আজিজুল শিকদার ও শ্রমিক কালাম ফকির। পূর্ত বিভাগের ক্লিনার মো. কোরবান আলী, মো. শাহজাহান, মো. ইউসুফ হাওলাদার, আশরাফুল ইসলাম, মো. জাফর, খান ইসমাইল হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. নাসির, মোজাম গাজী, মোতালেব আলী ও হেলপার আইয়ুব আলী। বিদ্যুৎ শাখার সোনা দাস। নিরাপত্তা শাখার নিরাপত্তা প্রহরী রাসেল বিশ্বাস, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান শেখ, নাসির উদ্দিন ও শেখ আবু জাফর।
কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, চাকরি স্থায়ীকরণে গতবছর ২০ মার্চ কর্পোরেশনের কঞ্জারভেন্সি বিভাগের স্প্রে-ম্যান মো. বাচ্চু শেখের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে ডিভিশনে রিট মামলা দায়ের হয়। রিট মামলার ওকালতনামায় ৩৭ জন মাস্টাররোল কর্মচারী স্বাক্ষর করেন। মামলার আরজির কপিতে ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বরের সা-১/১৪/১৩৪০/১১৫৭ নং স্মারক ব্যবহার করা হয়। যা কেসিসি কর্তৃক ইস্যুকৃত অন্য একটি অফিস আদেশের স্মারক। এছাড়া স্মারক পত্রের শেষে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও নথি উপস্থাপনকারীর স্বাক্ষরও স্কানিং করে বসানো হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম বলেন, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে ১৪৩৪৮/২৩ নং রিট মামলা দায়ের করেন তারা। রিট মামলার ওকালতনামায় ৩৭ জনই স্বাক্ষর করেন। মামলায় ভুয়া কাগজপত্র, প্যাড ও দলিলাদী ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
সচিব আরও জানান, মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মাস্টাররোলের (নো-ওয়ার্ক-নো-পে) চাকরি হতে তাদের অব্যাহতি প্রদানের নির্দেশনা দেন। এছাড়া কেসিসির আইন উপদেষ্টাও একই মতামত প্রদান করেন। সেকারণে তাদেরকে সোমবার অপরাহ্ন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন হোসের বলেন, তারসহ অনেকের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। অথচ যাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে তারা কিছুই জানে না। সুতরাং কাজটি তারা ঠিক করেনি বলে তার অভিমত।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন: