November 18, 2025
করোনাজাতীয়

টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

কোভিড ১৯ (করোনা) পরীক্ষার সনদ ছাড়া যাত্রী আনায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

দুদিন আগে অর্থাৎ বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ইস্তাম্বুল থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যে ফ্লাইট ঢাকা এসে পৌঁছায় সেখানে তিনযাত্রীর কোভিড-১৯ টেস্টের কোনো সনদ ছিল না। ওই তিনযাত্রী বাংলাদেশি ও একই পরিবারের সদস্য। তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা করে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় পৌঁছান।

ওই তিনযাত্রী যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা শুরুর আগে চিকিৎসকের কাছ থেকে চেকআপ করিয়ে এই মর্মে সনদ নেন যে করোনার কোনো লক্ষণ তাদের নেই। কিন্তু কোভিড শনাক্তকরণের জন্য নির্ধারিত পিসিআর টেস্ট তারা কেউ করাননি।

টার্কিশ এয়ারলাইন্স জানতো যে পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া কোন যাত্রীকে ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটে উঠালে ওই ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছার পর জরিমানা গুণতে হবে। এটা জেনেই তারা ঐদিন ইস্তাম্বুলে ঢাকা যেতে ইচ্ছুক ১০ যাত্রীর সঙ্গে কোভিড পরীক্ষার সনদ না থাকায় তাদের অফলোড করে দিয়েছিল বলে জানায়। এরপরও চেকইনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বিশেষের ভুলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা করা তিনযাত্রী ঢাকায় চলে আসতে সমর্থ হন। সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী আনায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

কোভিড পরীক্ষা না করিয়ে যে তিনজন যাত্রী ঢাকায় আসেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন জানান, তারা সবাই শিক্ষিত সচেতন মানুষ। তাদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যখাতেই চাকরি করেন বলে জানা যায়। কোভিডে যুক্তরাষ্ট্র কী অবস্থায় আছে তা তার অজানা নয়। অথচ সে দেশ থেকে নিজের দেশে আসার সময় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কোভিড টেস্ট করিয়ে আসবেন না, এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।

বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে আকাশযাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা বা তারও কম সময় বাকি থাকতে নমুনা দিয়ে পিসিআর টেস্ট করিয়ে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে নিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে এয়ারলাইন্স বিচারের মুখোমুখি হবে। আর যাত্রী যাবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *