কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যায় ৩ আসামির বিচার শুরু
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে হত্যা মামলায় তিন আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ এবং অভিযোগ গঠন করে আগামী ৭ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখেন। মামলার আসামিরা হলেন- নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।
এসময় আসামিদের কারাগার থেকে আদালতের কাঠগড়ায় আনা হয়। তাদের অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি ন্যায়বিচার চান বলে জানান আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন হাওলাদার।
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওনকে (১৯) গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আব্দুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা আবদুল করিম ও শারমিন মুক্তাকে পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর ওই বছরের ৩ নভেম্বর রাতে গোপালগঞ্জ থেকে মামলার মূল আসামি জনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে শারমিন মুক্তা ও জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক মো. আলী হোসেন। কাকরাইলে রাজমনি প্রেক্ষাগৃহের পশ্চিম দিকে রাজমনি কার সেন্টার ও বায়রা ডাটাবেইজ প্রতিষ্ঠানের মাঝের গলিতে করিমের একটি বাড়ির পঞ্চম তলায় খুন হন শামসুন্নাহার ও ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওন। শামসুন্নাহারের বড় দুই ছেলে বিদেশে থাকেন।
পুলিশের ভাষ্য, মুন্সীগঞ্জের শামসুন্নাহার (৪৬) ব্যবসায়ী করিমের প্রথম স্ত্রী। পরে তিনি ফরিদা নামের এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন। ফরিদার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তিনি মুক্তাকে বিয়ে করেন। করিম গ্রোসারি ব্যবসা ছাড়াও এফডিসিকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের প্রযোজনা ও পরিচালনায় যুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।