April 20, 2024
জাতীয়

ভাষাণ চরে যেতে রাজি রোহিঙ্গারা

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বঙ্গোপসাগরের তীরের দ্বীপ ভাষাণ চরে চলে যেতে রাজি হয়েছে। বন্যার ঝুঁকির আশঙ্কা সত্তে¡ও এই দ্বীপে রোহিঙ্গাদের পাঠাতে সরকারি উদ্যোগে মিয়ানমারের এই শরণার্থীরা রাজি হয়েছেন বলে গতকাল রবিবার বাংলাদেশের শরণার্থী বিষয়ক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সরকার ভাষাণ চরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে প্রথম দফায় পাঠাতে চায়। সীমান্তের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অতিরিক্ত রোহিঙ্গার চাপ কমিয়ে আনতে চায় সরকার। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বসবাস করছে।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানের মুখে প্রায় সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। কক্সবাজারের এই শরণার্থী শিবিরে আগে থেকেই দুই লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বসবাস করে আসছে।

বাংলাদেশের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার মাহবুব আল বলেছেন, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম তদারককারী কর্মকর্তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভাষাণ চরে যাবেন।

ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভাষাণ চরে স্থানান্তরে ছয় থেকে সাত হাজার রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে কবে থেকে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হতে পারে সেবিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি। অন্যদিকে ভাষাণ চরে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে এই কার্যক্রম শুরু হতে পারে। দিনে গড়ে ৫০০ শরণার্থীকে পাঠানো হতে পারে।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *